ফ্যাঁকাসে ঘাসে ঢেকে থাকা মধ্যরাতের রাস্তায় যখন নিঃসঙ্গতা আর অন্ধকারের হাত ধরে নিরবে হেটে চলি, তখন ভীষণ যন্ত্রণা আমাকে জাপটে ধরে চুম্বন করে। আর বলে আমি এভাবেই ভালোবেসে যাব তোমায় চিরদিন, ছেড়ে যাবনা কখনো তোমায় একলা ফেলে।
যে আমি পিঞ্জরের রক্তক্ষরণের কালি দিয়ে একদিন পরম আদরে লিখেছিলাম তোমার নাম, সমস্ত পৃথিবীকে যে নামের মাধূর্য শুনিয়েছিলাম; আজ সেই আমিই নিকোটিনের রঙিন ধোঁয়াই তোমার নাম পুড়িয়ে ফেলব ভাবছি। কারণ সেদিনের আমার আমি আর আগের মত নেই। অনেক পাল্টে গেছে আজকের এ আমি।
চোখের তারায় তোমার চোখের কালো মিশিয়ে ভয়ঙ্গকর আবেগঘন নানান স্বপ্ন বুনে যে মনটা একদিন তার খোরাক মিটাত। আজ সে মনটা ক্ষুধার তীব্র অত্যাচারে নিশি - দিন চোখের জল শুষে খায়, অথচ ভুল করেও কখনো সে স্বপ্ন বুননের কথা ভাবতে পারেনা। কারণ কালের বিধ্বংসী ছোবলে হারিয়ে যাওয়া সে মধুর স্বপ্নগুলো আসলে বিষাক্ত স্বপ্ন ছিল।
রাতগুলো এখন সহস্র পাহাড়ের সমান নরকের সুখ বয়ে আনে আমার জন্য। প্রায়ই রাতের উজ্জ্বল আঁধারে অশ্রুশূন্য এ চোখের বিকট আর্তনাদে কেঁপে কেঁপে ওঠে ভূপৃষ্ঠ, রক্তাক্ত হয়ে যায় বাতাসেরা, উন্মাদ হয়ে যায় সাগরের ঢেউ। চোখের সে প্রবল আর্তনাদে শিহরিত হয় মেঘের রাজ্য অতঃপর মূষল বরিষণে মনের জমিনে মাথাচারা দিয়ে ওঠা ছোট ছোট অবশিষ্ট সুখগুলোও ভেসে যায় লবণের দেশে। অবশেষে আঘাতে আঘাতে ভেঙে চুরে যাওয়া হৃদয়টুকু কুড়িয়ে নিয়ে আমি পথ চলি একা, শুধু একা।
0 Comments:
Post a Comment